জসিম উদ্দিন;খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ রমজানের আগেই খানসামায় খুচরা বাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে নিত্যপণ্যের দাম। ডাবল সেঞ্চুরির পথে ব্রয়লার মুরগির কেজি। ব্রয়লার মুরগির মাংস তিনশত ছুঁয়েছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার বিভিন্ন বাজারে এ মুরগি মাংসের ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কয়েকদিন আগেও যা ২৮০ থেকে ২৯০ টাকা করে বিক্রি হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১০ থেকে ২০ টাকা।
গতকাল খানসামার পাকেরহাট, চৌরঙ্গী, আমতলী, কাঁচিনিয়া, রামকলা, খানসামা বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দ্রব্যমূল্যের এমন চিত্র দেখা গেছে। খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বেশি দামে পণ্য কেনায় তাঁদেরও দাম না বাড়িয়ে উপায় থাকছে না। আর ভোক্তাদের অভিযোগ, দাম এভাবে বাড়তে থাকলে আসন্ন রমজানে গিয়ে তা তাঁদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাবে।
ব্রয়লার মুরগি অন্যান্য মাংসের চেয়ে অনেকটাই সস্তা। এ জন্য নিম্ন ও স্বল্প আয়ের মানুষের মাংসের চাহিদা মেটানোর প্রধান ভরসা এই মুরগি। গত বছর ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দামে একধরনের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ছিল। ব্রয়লার মাংসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মাছের দাম। তবে স্বস্তিতে আছে সবজির দাম।
বিক্রেতা আব্দুর রবের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে ব্রয়লার মুরগির মাংস ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। কয়েকদিন আগে যা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা করে বিক্রি হয়। গোটা ব্রয়লার মুরগি
বাজার করতে আসা সুমন বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, বাড়তি পরিবহন খরচ, পশুখাদ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ বাজারে জোগানের ঘাটতি দেখিয়ে দিন দিন প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েই চলেছে ব্যবসায়ীরা।
মাংস কিনতে আসা হালিম বলেন, ‘বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো জিনিসের দাম কমেনি, বরং প্রতি সপ্তাহে বাজারে গিয়ে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।